সবল নিউক্লিয় বল: যে আকর্ষণ বল প্রোটন -নিউট্রন তথা নিউক্লিয় কণা বা নিউক্লিয়ন সমহকে একত্রিত করে নিউক্লিয়াস গঠন করে তাকে সবল নিউক্লিয় বল বলে। মনে রাখবে এই বল শুধুমাত্র অতি অল্প দুরত্বে নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে কাজ করে বা ক্রিয়াশীল।
আমরা জানি কতকগুলো ধনাত্নক আধানযুক্ত কণা প্রোটন ও তড়িৎ নিরপেক্ষ কণা নিউট্রন সমন্বয়ে পরমানুর নিউক্লিয়াস গঠিত। সমধর্মী চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষন করে তাহলে চিন্তা করেছো তাহলে প্রোটন গুলো অতি অল্প পরিসরে নিউক্লিয়াসের মধ্যে কিভাবে থাকে? বা বিকর্ষন বলের কারনে পরস্পর থেকে দুরে সরে যায়না কেন? কারন আরোও একটি আকর্ষন বল নিউট্রন ও প্রোটন কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়াশীল আছে যা তাড়িৎ বিকর্ষন বলের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। এই বলই তাড়িত বলকে পরাভুত করে প্রোটন ও নিউট্রন কণাগুলোকে একত্রিত করে রাখে। এই শক্তিশালী আকর্ষন বলই সবল নিউক্লিয় বল। এর পাল্লা 10-15 অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধের সমতুল্য এবং তা 10-15 থেকে তা অধিক দুরত্বে এ বলের তেমন কোন প্রভাব থাকেনা। মেসন নামক এক প্রকারে মৌলিক কনা বিনিময়ের ফলে নিউক্লিয়গুলোর মধ্যে সবল নিউক্লিয় বলের উদ্ভব হয় এবং চারটি মৌলিক বলে এটি সর্বাপেক্ষা বেশি শক্তিশালী।