আমরা আজকে বৃষ্টির ফোঁটা গোলাকার আকার ধারন করে কেন? সেটা বাখ্যা করবো- আমরা জানি পৃষ্টটানের কারনে যেকোন তরল তার পৃষ্টের ক্ষেত্রফল সর্বনিম্ন করতে চায়। কারন এই অবস্থায় তরলের অনুগুলোর স্থিতিস্থাপক সর্বনিম্ন। তেমনি বৃষ্টির ফোটা গোলাকার হলে এটি এর পৃষ্টের ক্ষেত্রফল সর্বনিম্ন রেখে সর্বাধিক আয়তনের পানির আকার ধারন করতে পারে। অন্য যেকোন আকার হলে একই আয়তনের তরলের পৃষ্টের ক্ষেত্রফল বেশি হতো। তাই বৃষ্টির ফোটা গোলাকার।
পৃষ্ট শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: কোন তরল পৃষ্টের ক্ষেত্রফল একক পরিমান বৃদ্ধি করতে যে শক্তি ব্যয় হয় বা কোন তরল পৃষ্টের একক ক্ষেত্রফলে সঞ্চিত শক্তিকে ঐ তরলের পৃষ্ট শক্তি বলে।
প্রশ্ন: কাঁচের গায়ে পানি লেগে থাকলেও কচুর পাতার গায়ে লাগেনা কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:- কচুর পাতা ও পানির মধ্যকার আসন্জন বল পানির অনুসমুহের মধ্যবর্তী সংশক্তি বলের তুলনায় কম হওয়ায় কচুর পাতার গায়ে পানি লেগে থাকে না। কিন্ত কাচ ও পানির মধ্যকার আসন্জন বল পানির অনুগুলোর মধ্যবর্তী সংশক্তি বলের তুলনায় বেশি হওয়ায় পানি কাচের গায়ে লেগে থােকে। পৃষ্টটান জনিত কারনে পানি বিন্দুর পৃষ্টের অনুসমুহ সর্বদা নুন্যতম স্থিতিশক্তি অর্জন করার চেষ্টা করে। আর পৃষ্টজনিত স্থিতিশক্তির মান নুন্যতম হয় যখন পৃষ্টের ক্ষেত্রফল সর্বনিম্ন হয়।
তাই পানি বিন্দু সর্বদা গোলাকার আকার ধারন চেষ্টা করে। পানি ও কচুর পাতার মধ্যকার আসন্জন বল পানির সংশক্তি বলের তুলনায় কম হওয়ায় তা পানির বিন্দুর এই গঠন খুব একটা পরিবর্তন করতে পারেনা, তাই কচুর পাতায় পানি লাগে না। কিন্তু কাচে ও পানির মধ্যকার উচ্চ আসন্জন বল পানি বিন্দুর গোলাকার গঠন নষ্ট করে, ফলে পানি কাচের উপর ছড়িয়ে যায়। তাই পানি কাঁচের গায়ে লেগে থাকে।